প্রবা
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১০:২৭ এএম
অতিথি পাখির সমাগম
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে রয়েছে বৈচিত্র্যময় প্রাণিজগৎ। যেখানে পাখির ভূমিকা অপরিসীম। দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। যার ৪০০ পাখি আমরা সচরাচর দেখি। বাকি ২০০ অতিথি পাখি। এরা শীতকালে পৃথিবীর নানান স্থান থেকে উড়ে এসে কিচিরমিচির সুরে ভরিয়ে তোলে আমাদের প্রকৃতি। অতিথি পাখির আগমনে গ্রাম যেমন মুখর হয়ে ওঠে, তেমন শহরাঞ্চলেরও নানান স্থানে বালিহাঁস, বাটুল, চখাচখি, শামুকখোল, খাপোডুবুরিসহ নানা বর্ণ ও আকৃতির পাখির চঞ্চল ওড়াউড়ি মুগ্ধ করে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে। তবে দূরপ্রবাসী এসব অতিথি পাখি খাওয়ার জন্য শিকার করে কিছু অসাধু পাখি শিকারি। পাখি শুধু আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবর্ধনকারীই নয়, এর উপকারী ভূমিকাও অনস্বীকার্য। বন্য প্রাণী রক্ষায় আমাদের আইন রয়েছে। পাখি শিকারের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে। অতিথি পাখি রক্ষায় এসব আইনের প্রয়োগ যেমন জরুরি, তেমন অসাধু শিকারিদের প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে।
নাজিয়া নূর
শিক্ষার্থী, অনার্স
চতুর্থ সেমিস্টার
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট
পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ
স্বাভাবিকের
চেয়ে বেশি ভাড়া
ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে সরকারের শ্রেষ্ঠ উপহার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অধিকাংশ বাসে এক্সপ্রেসওয়ের দোহাই দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রায় প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গেই বাস কন্ডাক্টরের ঝামেলা হচ্ছে। ঢাকা শহরে ছাত্রদের জন্য ভাড়া হাফ পাস থাকলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী অনেক বাসই ছাত্রদের হাফ পাস নিতে আগ্রহী নয়। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। কখনও কখনও গাড়ির ভাড়া আদায়কারীর সঙ্গে ছাত্রদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হচ্ছে; যা কোনোভাবেই সুরুচির পরিচয় বহন করে না। শুধু ছাত্রদের থেকেই নয়, সাধারণ যাত্রী থেকেও নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ প্রচুর; যা নিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া আদায়কারীর বচসা হচ্ছে। এতে পরিবহনে এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী সব বাস যেন নিয়ম মেনে চলে এবং সঠিক ভাড়া আদায় করে সেদিকটি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তিতে না পড়ে, সরকারের শুভ উদ্যোগ যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. আব্দুল ওহাব
শিক্ষার্থী, আরবি
বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দ্রব্যমূল্য
নিয়ন্ত্রণ করুন
প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এ অবস্থায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়ছে। সম্প্রতি যোগ হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ। এতে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। এরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাজারে। ফলে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। বৈশ্বিক সংকটের কারণে প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে যে প্রভাব ও মন্দা দেখা দিচ্ছে তাতে আমরাও শঙ্কামুক্ত নই। এর সঙ্গে যদি আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াতে টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকে, তবে তা হবে বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো। হরতাল-অবরোধ এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীও। এ অবস্থায় বিরোধী দলগুলোর প্রতি আহ্বানÑ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ায়, জনদুর্ভোগ বাড়ায় এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকুন। সেই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বানÑ বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হোন। সিন্ডিকেটের কারসাজি নামে বাজার যারা অস্থিতিশীল করে তুলেছে তাদের আইনের আওতায় আনুন।
ফারজানা আক্তার
শিক্ষার্থী, বেগম
বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা